অষ্টগ্রাম,
ব্রাক্ষণ বাড়িয়া জেলা সদরের নিকটে অবস্থিত সবুজে ঘেরা একটি গ্রাম।
গ্রামটির রয়েছে শিক্ষা - সংস্কৃতি ও ইসলামি আদর্শের এক অনন্য পূর্ব ইতিহাস।
বিগত কয়েক দশক ধরে আদর্শ গ্রামের মর্যাদা লালন করে স্বগর্বে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
এই গ্রামে রয়েছে সোনার কিছু অসাধারণ জ্ঞানী আর সুনামখ্যাত সন্তান। যাদের গৌরবোজ্জ্বল পদমর্যাদা আর আর আদর্শগত ছায়া এই গ্রাম এর মাটিকে করে তুলেছে সমুন্নত।
এছাড়াও এই গ্রামের যুবক দের পদচারণা যেমন সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান সমূহে ঠিক তেমনি রয়েছে প্রবাসে ।
শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী নীতি এই গ্রামের যুব সমাজকে করেছে আত্মনির্ভর ও সমৃদ্ধশালী।
এই গ্রামে যেসকল সমাজ সংস্কারক প্রতিষ্ঠান ও ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে সেগুলো হলঃ
১.একটি উচ্চবিদ্যালয়,
২.একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়,
৩.একাধিক জামে মসজিদ ,
৪.মাদ্রাসা ও মহিলা মাদ্রাসা,
৫.ছাত্র সংসদ,
৬.ব্র্যাক ব্যাংক,
৭.গ্রামীন ব্যাংক,
৮.ইসলামী ব্যাংক,
৯. কৃষি ব্যাংক,
১০.ডাকঘর,
১১.খেলার মাঠ ,
১২.ঐতিহ্যবাহী তেতুল গাছ এর মোড়
১৩.বিখ্যাত কালীবাড়ির বটমূল
১৪.একাধিক বাজার।
১৫. পারিবারিক ও সম্মিলিত কবরস্থান।
১৬. কমিউনিটি ক্লিনিক।
১৭. বিস্তৃর্ণ চাষভূমি।
এছাড়া ও এই গ্রামের বহু কৃতি সন্তান রয়েছে যাদের কীর্তিমান কর্মকান্ড আর সুখ্যাতির জন্য দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রসারিত হয়েছে এই গ্রামের মর্যাদা।
এই গ্রামের মাঝেই জন্ম নিয়েছে বিখ্যাত অনেক ইসলামিক চিন্তাবিদ ও বিশিষ্ট এলমে দ্বীন।
যা আমাদের এই গ্রামের শিক্ষা সংস্কৃতি আর শত শত বছরের ঐতিহ্যকে লালন করে।
অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, স্থাপিত - ১৯৬৫ সালে। যুদ্ধের পূর্ব হতে আজ অবধি সুনামের সাথে এই প্রতিষ্ঠানটি এই গ্রামসহ পাশের অন্যান্য গ্রাম গুলোর কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষাদান করে যাচ্ছে।
এখান থেকে অনেক কৃতি সন্তানদের গোড়াপত্তন হয়েছে।
অষ্টগ্রাম জামে মসজিদ যা অষ্টগ্রাম বাজারে অবস্থিত। তিনতলা বিশিষ্ট এই মসজিদটির নির্মাণশৈলী আসলেই অনেক সুন্দর।(নির্মাণাধীন)
মুক্তিযোদ্ধের কিছুদিন পরেই ১৯৭৪ সালে গ্রামের যুবকদের দীর্ঘ প্রয়াসের ফলে এই ছাত্র সংসদ সংঘটন টির জন্ম হয়।
এক পা দু পা করে আজ অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। সময়ের সাথে সাথে এই গ্রামের নতুন প্রজন্ম ধারা বজায় রেখে চলেছে।
গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান , সমাজ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে সংঘটনটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
গ্রামের একমাত্র খেলার মাঠ, যা বড়দা রঞ্জন মাঠ নামে পরিচিত। এই মাঠে আশে পাশের গ্রামের যুবাদের কে ও খেলাধুলায় অংশ নিতে দেখা যায়।
শারীরিক কলাকৌশল চর্চার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের শারীরিক বিকাশ হয়ে থাকে, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গ্রামের মাঝখান দিয়ে সাপের মতো একেবেকে চলেছে এই সুন্দর রাস্তাটি। এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া হতে শুরু হয়ে আশুগঞ্জ অবধি চলে গিয়েছে। অষ্টগ্রাম - আশুগঞ্জ বাইপাস রোড।
এটি খুবই পুরাতন একটি ডাক বাংলো, যেখানে এক সময় ডাকঘর এর কার্যক্রম সম্পাদিত হত।
সবাই একে "মিয়া বাড়ির ডাক বাংলো" হিসেবেই চেনে।
এই গ্রামে প্রতিনিয়ত সকাল হতে রাত অবধি হাট বসে। সকল ধরনের প্রয়োজনীয় সদাই এখান থেকেই করে থাকেন সবাই।
গ্রামের উত্তর দিকের শেষ প্রান্তে তৃণ ভূমির পাশেই এই বিশাল আকারের বটতলার অবস্থান।
যেটি সকল বয়সের মানুষের বিশ্রামস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয় গ্রীষ্মের দুপুরে।
বিকেল বেলা ভাল সময় কাটানোর জন্য ও এই স্থান টি বেশ সমাদৃত।
এটি "অষ্টগ্রাম বড় জামে মসজিদ" যা খুবই পুরাতন। একটি ঐতিহাসিক মসজিদ হিসেবে ও পরিচিত। সর্বদাই এখানে আল্লাহ ভীরু মানুষের সমাগমে মুখর হয়ে থাকে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে কিছু প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।
শখের বশে বিকেল বেলার প্রশান্তির মাঝে জাল দিয়ে মাছ ধরার দৃশ্য। যা আসলেই গ্রাম বাংলার এক অনন্য প্রতিচ্ছবি।
বিকেলের সোনালী রোদ যখন সুর্যাস্তের কোলে ঢলে পড়ে।
গ্রামকে অন্ধকারের কালো চাদরে ঢেকে নেওয়ার প্রস্তুতি।
বর্ষার সময় রাস্তার দুপাশে পানি থৈ থৈ করে, প্রকৃতির লীলাভূমি যেন এক অপরূপ সৌন্দর্য্যের মোহমায়া।
সকাল বেলার কুরআন মাজীদ ও ধর্মীয় শিক্ষার মুহূর্ত। গ্রামের প্রতিটা শিশুই তার শৈশবে এই শিক্ষা পেয়ে থাকে।
২১ শে ফেব্রুয়ারিতে অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারের চিত্র।
মাদক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের বিষয়ে সচেতন মূলক বৈঠক। যা যুব সমাজকে এর কুফল সম্পর্কে অবহিত করে এবং ভাল কাজের প্রয়াস যোগায়।
সম্মিলিত কবরস্থান যেখানে অধিকাংশ গ্রামের মানুষ চিরতরে শায়িত আছেন।
এমন আরও অনেক গুলো কবরস্থান রয়েছে, যেখানে এই গ্রামের অনেক কীর্তিমানদের
সমাধি রয়েছে।
এই গ্রাম ব্রিটিশ আমল থেকে একটি আদর্শ গ্রামের উপাধি অর্জন করে, আজ অবধি গর্বের সাথে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
একটি মোড়কে যেমন সকল পন্য ব্যবহার উপযোগী হয় না, ঠিক তেমনি একটি গ্রামের সকল সন্তান আদর্শ আর নীতিবান হবে না এটাই স্বাভাবিক।
তবে কিছু অসৎ মানুষের জন্য কোন গ্রাম বা স্থানকে দায়ী করা উচিত নয়।
*If you benefit from using our information, then it is in our best interest.
We are always ready to provide you with information or solutions*
*আমাদের তথ্যগুলো ব্যবহার করে যদি উপকৃত হোন, তবেই আমাদের স্বার্থকতা।
সর্বদাই আমরা আপনাদের জন্য তথ্য কিংবা সমাধান নিয়ে প্রস্তুত আছি*
0 মন্তব্যসমূহ